সর্বশেষ সংবাদঃ
আশরাফুল ইসলাম রনি :
এ বছর চলনবিলের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সিংড়া উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে।
চলনবিল এলাকার জুড়ে সরিষার ক্ষেত হলুদ ফুলে একাকার হয়ে গেছে। কৃষকরা আশা করছেন এবার বাম্পার ফলনের। এ কারণে কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ বছর তাড়াশ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তাছাড়া চলনবিলাঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, চলনবিলাঞ্চলে এ বছর বন্যার পানি নামতে দেরি হওয়ার কারণে আগাম সরিষার চাষ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তিনি বলেন, একসময় চলনবিলের কৃষকরা শুধু ইরি-বোরো এক ফসলী আবাদ করে হাজার হাজার হেক্টর জমি পতিত রাখত। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে। তারা বিগত দেড় যুগ ধরে ইরি-বোরো, আমন, ভূট্টা, তরমুজ ও সরিষার আবাদে ঝুঁকেছে।
গত কয়েক বছর ধরে বন্যার পানি কম ও দ্রুত পানি মাঠ থেকে নেমে যাওয়ার ফলে সরিষার আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে বলে ওই কৃষক জানান। তবে এবছরই একটু ব্যাতিক্রম ঘটেছে সরিষার বীজ বোপন করতে।
চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বছর ১০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলার রানীগ্রামের ইমরুল হাসান জানান, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি আশা করছি ফলনও ভাল হবে। যদি পোকা আক্রমণ করে তাহলে সরিষা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন আর্থিকভাবে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, এবছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমন হলে কি করনীয় সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করেছেন। তাছাড়া কর্মকর্তারা সব সময় মাঠে থেকে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।