সর্বশেষ সংবাদঃ
এম এ মাজিদ : চলনবিল এলাকায় সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাদে কৃষি জমি কেটে চলছে পুকুর খনন। দিন দিন পুকুর খনন মাত্রা বেরেই যাচ্ছে। কোন ভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছেনা পুকুর খনন।এক শ্রেনীর দালাল চক্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অসহায় জমি মালিকদের সাময়িক অধিক মুনাফার আশা দিয়ে পুকুর খননে বাধ্য করছে। জমির শ্রেনী পরিবর্তন করতে হলে সরকারের অনুমোদনের কথা থাকলেও তা কেউ মানছে না। বরং যত্র তত্র ভাবে পুকুর খনন ও সরকারি খাল দখল করে ভরাটের ফলে আশেপাশের জমিসহ এলাকার শতশত বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং অধিক মাটি ভর্তি গাড়ীর কারনে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি রাস্তা । তাছারা ডাকনা ছারা বেপোরোয়া ভাবে মাটি বহনকারী গাড়ী চলাচলের ফলে অহরহ দূর্ঘনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদেরে।
স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণির দালার চক্র মাটি বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশায় জমি মালিকদের ভূলভাল বুঝিয়ে চুক্তিতে পুকুর খনন করে দিচ্ছেন। দালালচক্রের কিছু সদস্য মোবাইল ফোনে জানান, সবকিছু ম্যানেজ করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। চলনবিলের তাড়াশ উপজেলা সদর গ্রামের কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, যত্র তত্র ভাবে পুকুর খননের ফলে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আগাছার জন্ম হচ্ছে। আগাছা পরিস্কার করতে প্রতি ১বিঘা জমিতে খরচ গুনতে হচ্ছে ২থেকে ৩হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন,এভাবে চলতে থাকলে আগামী দু-এক বছরের মধ্যে তাড়াশের দক্ষিন,পূর্ব ও উত্তর মাঠে আর ফসলী জমি পাওয়া যাবে না।
সুত্র মতে গত তিন বছরে চলনবিলের নাটোরের গুরদাসপুর উপজেলাতে প্রায় সাড়ে ৯শ’ হেক্টর জমিতে পুকুর খনন হয়েছে। শুধু ২০১৭ সালেই প্রায় ৪শ’ হেক্টর জমিতে পুকুর খনন করা হয়। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে দেশ খাদ্য ঘাটতির আশংকা রয়েছে।
মাছ চাষ লাভজনক হওয়ার ফলে পুকুর খননে ঝুঁকেছে এলাকার মানুষ দাবী দালাল চক্রের। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারী বিভিন্ন জন গুরুত্ব পূন রাস্তার পাশের খাল দখল করে পুকুর খননের ফলে রাস্তা ভেঙ্গে অহরহ দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে পথচারীরা।
এবিষয়ে চলনবিলের তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, অবাদে পুকুর খননের ফলে গত ৩বছরে শুধু তাড়াশ উপজেলাতে আবাদি জমি কমেছে প্রায় সাড়ে ৩’শ হেক্টর। তাছারা অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের কারুনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসল চাষে বিঘ্ন হচ্ছে। জলাবদ্ধতার ফলে অনেক সময় চাষ অনুপযোগী হয়ে পরে। তিনি আরো জানান, এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে দেশে খাদ্য ঘাটতি প্রকট হবে।