এম এ মাজিদ,তাড়াশঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীমতি সনজিতা রানী উরাঁও (২৫) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত গৃহবধু উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের রানীদিঘী গ্রামের শ্রী অখিল উরাঁওয়ের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার (২৮মে) বিকেলে ওই গৃহবধুর নিজ বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রবিবার এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
সরেজমিন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, অখিল উরাঁও তার বসতঘরের আঙিনায় একটি বাটুল গাছের ছোট ছোট কয়েকটি ডাল কাটছিল। ওই সময় তার তিন চাচাত ভাই সুহাদেব উরাঁও (৩০), জয়দেব উরাঁও (৩২) ও সুদেব উরাঁও (৩৫) গাছটি তাদের বাড়ির সীমানায় বলে কাটতে বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তিনভাই মিলে অখিল উরাঁওকে মারধর শুরু করে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী সনজিতা রানী উরাঁও এগিয়ে গেলে তাকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত গৃহবধুর ইঞ্জুরি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বেধরক পিটানোর কারণে কপাল ও মাথার পেছেনে ফেটে যায় এবং ডান হাত ভেঙে যায়। এদিকে ঘটনার তিনদিন পর ওই গৃহবধু কিছুটা সুস্থ হলে তার স্বামী বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা বলেছেন, গাছের ডালকাটা নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে তর্কাতর্কির মধ্যে তাদের ভাবি চলে আসেন। রাগের মাথায় অখিলকে মারতে গিয়ে ভাবি শ্রীমতি সনজিতা রানী উরাঁওয়ের সামান্য আঘাত লেগেছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালত থেকে মামলার নথি থানায় এলে আইনানুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।