সর্বশেষ সংবাদঃ
তাড়াশ প্রতিনিধি:
অত্যাধুনিক ঝকঝকে নতুন ৫০ শয্যা ভবন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সঙ্গে ৩১ শয্যাা পুরানো ভবন। চিকিৎসক রয়েছে পযার্প্ত। সঙ্গে আছে নার্স-আয়া, ওয়ার্ডবয়-অফিস সহকারী-মালী ও নাইটগার্ড। রয়েছে প্যাথলজী বিভাগ ও এক্সরে-মেশিন।
সরজমিণে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসক শিমুল তালুকদার যমুনা প্যাথলজী এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখছেন। ডা. শিমুল তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালে থাকায় ও স্থানীয়দের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠায় হাসপাতালের গেটে অবস্থিত চেম্বারে বসে রোগী দেখে সময় পার করেন। সামান্য কেটে গেলেও নামমাত্র সেলাই দিয়ে অবস্থা খারাপ বলে পাঠিয়ে দেন জেলা সদর বা বগুড়া-রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানাগেছে,১৯৮৫ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিমার্ন করা হয়। সেই থেকে চলছে ঢিলেঢালে স্বাস্থ্যসেবা। সম্প্রতি পুরানো ভবনটির পাশে নতুন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিমার্ন করা হয়। গত ২০১৮ সালের ৭ই আগষ্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রী এসে উদ্ধোধন করেছেন। কার্যক্রম চলছে সেই নতুন ভবনটিতে। সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জরুরী বিভাগে ও বর্হিঃবিভাগে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে দেখা গেলেও আবাসিক চিকিৎসক শিমুল তালুকদার কে পাওয়া গেলনা।
খোজ জানা যায়, চিকিৎসক শিমুল তালুকদার রয়েছেন হাসপাতাল গেটে অবস্থিত যমুনা প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চেম্বারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসক জানান, শিমুল তালুকদার এক মুহুর্তও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে না। আর তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা.এহিয়া কামাল, ওই দু’জন চিকিৎসক কে সর্তক করে দেব। যেন তারা সরকারী ডিউটি চলাকালীন সময়ে বাহিরে না বসে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।