জহুরুল ইসলাম:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম সাইফুর রহমানেরর বদলী হওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। তার বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সাথে সম্নয় ও অশালীন আচরণ, প্রধান মন্ত্রীর প্রকল্প "জমি আছে ঘরনেই" কাজের স্বেচ্ছাচারীতা, কৃষকদের হয়রানি সহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তিনি এ অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন।
এদিকে তার এ বদলীর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রকার গুঞ্জন শুরু হলেও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন এটিকে রুটিন ওয়ার্ক বলে দাবী করেছে।
ইউএনওর বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এস এম সাইফুর রহমানকে বদলী করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে মর্মে চিঠি পেয়েছি।
উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, গত ২৩ আগষ্টে ২য় ধাপে ৫৯৮ মেট্টিকটন ধান ক্রয়ে মাইকিং করে প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে কৃষকদের উপজেলা চত্বরে হাজির করেন। কৃষকের নাম লিপিবদ্ধ করতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এসময় সাধারণ কৃষকরা ইউএন'র উপড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইউএনও উপজেলা কৃষি অফিসে আশ্রয় নিয়েছিল। সে চলে গেছে ভালো হয়েছে। আমাদের মনে স্বস্তি এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা সোলায়মান ও মাওঃ মাহবুবুর রশিদ শামীম এই প্রতিবেদককে বলেন, এ উপজেলায় উন্নয়ন মূলক কাজের কোন জনপ্রতিনিধিদের সাথে সম্নয় না করেই ইউএনও তার খেয়াল খুশি মত কাজ করতো। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রকল্প "জমি আছে ঘরনেই" প্রকল্পের স্বেচ্ছাচারিতা করেছে। এছাড়া মাসিক সম্নয় সভায় আমাদের সাথে অশালীন আচরণ করতো সব সময়। আমাদের কথা তিনি শুন্তেননা। কৃষকদের সাথেও খারাপ ব্যাবহার করেছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী শেখ বলেন, জনগণের ভোটে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের সুখ-দুঃখ আমাদের দেখতে হয়। বিদায়ী ইউএনও আমাদের সাথে যে আচরণ করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এছাড়া আমার সাথে অশালীন আচরণ সহ নানাবিধ হেয়প্রতিপন্ন করেছে। এমনকি সরকারী অনুষ্ঠানে আমার নাম প্রর্যন্ত দেয়নি।
এ ব্যাপারে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম সাইফুর রহমান জানান, আমরা সরকারি চাকুরী করি। সরকার যেখানে ঠিক মনে করে সেখানে নিয়ে যায়।